আড়িয়াদহের ‘জয়ন্ত’ হয়ে গেলো ‘জায়ান্ট’ – পিছনে বড়ো রাজনৈতিক নেতৃত্ব
‘জয়ন্ত’ ওরফে ‘জায়ান্ট’ – এখন খবরের শিরোনামে। তার বাবার খাটালের ব্যবসায় সাহায্য করতো জয়ন্ত। করতো দুধ বিক্রি। সৎভাবে পরিশ্রম করে চলতো সুখের জীবন। তারপরেই ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠলেন এলাকার ‘ডন’। এলাকায় অভিযোগ, শাসক দলের ‘ছত্রচ্ছায়ায়’ এসে কামারহাটির ‘ডন’ হয়ে উঠেছিল জয়ন্ত। নেপথ্যে অপরাধের দীর্ঘ অভিযোগ। তাতেই সংযোজন, পরিত্যক্ত জমি দখল করে মাত্র এক বছরের মধ্যে ‘প্রাসাদ’ তৈরি। যদিও এমন শাজাহান আর জয়ন্ত এখন সারা বাংলায় বহু ছড়িয়ে আছে। আড়িয়াদহ মৌসুমী মোড় থেকে কিছুটা এগোলেই প্রতাপ রুদ্র লেন। সেই গলির ভিতরেই মাত্র এক বছরের মধ্যে অট্টালিকা বানাল কী করে জয়ন্ত? প্রশ্ন ছিল সকলেরই। কিন্তু কার ঘাড়ে কটা মাথা আছে যে সেই প্রশ্ন তুলবে!!
জানা যাচ্ছে, ওখানেই একটা ছোট জলাশয় সহ অনেকটা জমি ছিল। বাচ্চার খেলা করতো ওই মাঠে। তারপর? বাকিটা ইতিহাস। নতুন করে নিজেদের নামে জমির কাগজ তৈরী, পৌরসভার অনুমোদন সব ফুৎকারে হয়ে গেলো তার, আর জয়ন্ত হয়ে উঠলো ‘জায়ান্ট’! তার মাথায় ছিল কার আশীর্বাদের হাত? এলাকার সাংসদ ও বিধায়ক একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছে। জয়ন্ত প্রকাশ্যে বলে বেড়াতো আড়িয়াদহে সেই আদালত আর সেই পুলিশ। প্রথমে বিভিন্ন প্রকল্পে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ, তার পরে শাসক দলের ‘মদতে’ বাহুবলী হয়ে সেই দ্রব্য ও কর্মী সরবরাহের সিন্ডিকেট তৈরি করে বলেও অভিযোগ। তারপরেই আসলো নতুন শব্দ ‘তোলাবাজি ব্যবসায়।’ আর এখন বাধ্য হয়ে পুলিশ তাকে পাঠিয়েছে জেলে। এলাকার মানুষ জানাচ্ছে, জামিনে মুক্তি পেয়ে হয়তো ওর তোলাবাজির রেট আরো অনেক বেড়ে যাবে।