১৮ টি আসনের মধ্যে বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির আসন সংখ্যায় ১২টি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গ বিজেপির এক সময়ের তাবড়-তাবড় নেতারা অর্থাৎ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মতো নেতারা আজ হেরে গিয়েছে। এর দায় কার ? মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই প্রশ্ন উঠে আসতে বারবার। তবে সমস্ত দায় নিজের ঘাড়েই নিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর বক্তব্য, “রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায় তো আমারই। সব সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারিনি। কিন্তু দায় তো আমাকেই নিতে হবে। আমি পিছু পা হব না। সিদ্ধান্ত হয়ত অন্য কেউ নেবে। তবে দায় আমাকেই নিতে হবে।”

একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, “আমার বিশ্বাস ছিল দিলীপদা জিতে যাবেন। উনি আমাদের সকলের নেতা। আমরা সকলে শ্রদ্ধা করি। ওনার কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্যই হয়ত হেরে গেলেন। তবে নিশীথের হার আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। ভেবেছিলাম সিট ঠিক বের করে নেবে। কোনও কারণে হয়ত হয়নি। পরেরবার জিতে যাবে।”

দিলীপ ঘোষ প্রথম বঙ্গে বিজেপি দল যে বিরোধীদল হয়ে উঠবে তার ব্যবস্থা করেছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। দিলীপের আমলেই গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮ আসন জিতেছিল। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁরই নেতৃত্বে এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসে বিজেপি।

তবে ২০২১ এর চিত্রটা অনেকটাই পাল্টে যায়।দিলীপের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব নেন সুকান্ত মজুমদার। এবারের ভোটে রাজ্য বিজেপিতে প্রধান দুই মুখ হিসেবে বার বার দেখা গিয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

শুভেন্দু অধিকারী ঠিক করেন যে বঙ্গে কে কোথায় ভোটে দাঁড়াবে? ফল ঘোষণা করে দেখা যায় যেখানে ৩০ টি আসন দখলের কথা ছিল সেখানে ১২ টি আসন দখল করেছে গেরুয়া শিবির।বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের আক্ষেপ, ‘মেদিনীপুর থেকে দিলীপ ঘোষ লড়লে হয়তো ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। অগ্নিমিত্রা আর দিলীপ, দু’জনেই দুই অচেনা কেন্দ্রে গিয়ে ঘর গোছাতে পারলেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *