নিজেদের শরীরকে নিয়ে সকলেই যথেষ্ট সচেতন। অনেকে আছে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। রোজের অনিয়ম, নিত্যদিন তেল-মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়া, শরীরচর্চার নামে আলসেমি এবং আরও বিভিন্ন কারণে পেটে একটু একটু করে মেদ জমতে থাকে। আর আস্তে আস্তে পেটের মেদ বাড়তে থাকে তখনই মানুষের সচেতন হয় ভুড়ি কমানোর জন্য।শুরু হয়ে যায় ডায়েট, জিমে গিয়ে শরীরচর্চা। তাতে লাভ বিশেষ কিছুই হয় না। তবে পুষ্টিবিদদের মতে এবার আশার আলো দেখাচ্ছে এই ফলগুলো। পেটের মেদ ঝরাতেও কিছু ফল সত্যিই কার্যকরী। এখানে রইল তেমন কয়েকটি ফলের হদিস।

আপেল:

দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর আপেল হজমশক্তি উন্নত করে। রোজ একটা করে আপেল খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। হজম ঠিক করে হয় না বলেই ওজন বাড়তে থাকে। জমে মেদ। আপেল খেলে অবসান হবে সেই সমস্যার।

তরমুজ:

গরমে স্বস্তি দেওয়া ছাড়াও তরমুজ ওজন কমাতেও পারদর্শী। পেটের মেদ ঝরানোর চেষ্টা করছেন যাঁরা, তরমুজ খেতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা জমে থাকা মেদ ঝরায়। তা ছাড়া শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলেও ওজন বাড়তে থাকে। তরমুজ সেই ঘাটতি পূরণ করে।

পাতিলেবু:

ভিটামিন সি রয়েছে। রোজ পাতিলেবু খেলে যে ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাতিলেবুতে থাকা পলিফেনলস ওজন বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে মেদ জমারও কোনও সুযোগ থাকে না। তাই শরবত হোক কিংবা ভাতের সঙ্গে, পাতিলেবু রোজ খেতে পারলে ভাল।

কলা:

কার্বোহাইড্রেট থাকায় একটা কলা খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। তা ছাড়া কলায় আছে ফাইবার। যা হজমের গোলমাল দূর করে। মেদ জমার সুযোগ পায় না।

টম্যাটো:

ফল না সব্জি, টম্যাটোর গোত্র কোনটি তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। তবে টম্যাটো যে ওজন কমাতে সাহায্য করে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকার কথা নয়। কারণ টম্যাটোতে আছে লাইকোপেন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো উপাদান, যা মেদ ঝরানোর জন্য কার্যকরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *