উপনির্বাচনে তৃণমূল ঝড়ে কূপকাত বিজেপি
বাংলার বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের হাওয়ায় ফুৎকারের মতো উড়ে গেলো বিজেপি। তৃণমূল নিজেও ভাবে নি যে বাংলার মানুষের এমন ব্যাপক সমর্থন তারা পাবে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ এবং কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে বুধবার। শনিবার তার ফল ঘোষণা। রায়গঞ্জ, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণে উপনির্বাচন হয়েছে বিধায়কেরা দলবদল করায়। এই তিন কেন্দ্রে ২০২১ সালে বিজেপি জিতেছিল। মানিকতলায় জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু তিন বছরের মধ্যে মানুষের সমর্থন প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে।
শুরু হয়ে গেছে বাক যুদ্ধ। মাঠে নেমে পড়েছেন কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, “কল্যাণ চৌবে যত ভোটে হারবেন, ততগুলি রসগোল্লা ওঁর বাড়িতে পাঠাব।” শেষে খবর অনুযায়ী ১১ রাউন্ডের পড়ে সুপ্তি পান্ডে ৩৮ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
রানাঘাট দক্ষিণে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর জয়ের ব্যবধান ৩৭,০০৬। সেখানেও বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাস দাঁড়াতেই পারেন নি। স্বাভাবিক কারণেই সবুজ আবিরের বিক্রি অনেক বেড়ে গেছে। কিছু টাকা অতিরিক্ত রোজগার হলো দোকানিদের। রায়গঞ্জের পর বাগদাতেও ৩৪ হাজার ভোটে জিতলো তৃণমূল। মাত্র ২৫ বছর বয়সে রাজনীতিতো নেমেই বিজেপিকে সোজা মাঠের বাইরে। চলতি বিধানসভায় রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হতে চলেছেন মতুয়া পরিবারের সদস্য এবং তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর। তাঁর বয়স ২৫ বছর। উল্লাসের মেজাজে বাংলার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। শুধু দোকানিরা হতাশ হয়ে বলছেন, অনেক গেরুয়া আবিরও কিনে রেখেছিলাম। কিন্তু তা দোকানেই পড়ে রইলো।