বিনোদন

এবারের ‘মহানায়ক’ সম্মানে ভূষিত হলেন মুখ্যমন্ত্রীর দুই কাছের মানুষ রচনা ও নচিকেতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই তাঁর একাধিক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি ছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিল্পীদের বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া। নিন্দুকেরা হয়তো বলেন, এটা মমতার নিতান্তই ভোট কেনার কৌশল! কিন্তু এভাবেই তো সম্মানিত হচ্ছেন বহু শিল্পী। এবার সেই সম্মান পেলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। উত্তম কুমারের মৃত্যুদিনে প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন রচনার নাম ঘোষণা করার সময় উপস্থিত হতে পারেননি অভিনেত্রী। তিনি পরে উপস্থিত হন অডিটোরিয়ামে। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ চলচ্চিত্র সম্মান পেয়েছেন অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য, শুভাশিস মুখোপাধ্যায় ও রুক্মিণী মৈত্র। চার দশকে চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মমতা জানিয়েছেন, ২০২৩ পর্যন্ত ২৩ জনকে মহানায়ক সম্মান দেওয়া হয়েছে, ৪১ জনকে বর্ষসেরা সম্মান দেওয়া হয়েছে, ১৪১ জনকে বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এক কথায় প্রায় পুরস্কারের ডালি সাজিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। টলিউডও বিশ্বাসভঙ্গ করেন নি। পুরো টলি পাড়া এখন মমতার মঞ্চে।

সমস্যায় পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কারণ গত ১২ বছর ধরে গাদা গাদা এই পুরস্কার দেওয়ার ফলে এখন আর ক্যান্ডিডেট পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, “২০১২ সাল থেকে এই অনুষ্ঠান আমরা করি। আমরা খুঁজতে গিয়ে দেখি, আর নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাইকেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে।” প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “প্রসেনজিৎ ৪০ বছর ধরে অবদান রেখেছেন সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। ও আমাদের গর্ব।”নচিকেতার ধ্রুপদী গানের প্রশংসাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জীবনমুখী গানের পাশাপাশি, নচিকেতা খুব ভাল ধ্রুপদী গান গায়।” একটা কথা অবশ্য ঠিক প্রসেনজিৎকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক মঞ্চে কেউ আনতে পারেন নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *