সবুজ চা বাগানের মধ্যে পিচের আঁকাবাঁকা রাস্তা; ডুয়ার্স এ, এক সবুজ সুন্দরী গ্রাম !
বৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ে যাওয়া বারণ থাকে। কিন্তু পাহাড়ে যেতে মন চাইছে ? তাহলে বড় কোন পাহাড়ে না ঘুরে, ডুয়ার্স এর ছোট্ট পাহাড়ে ঘুরে আসুন। ডুয়ার্স মানে যেমন জঙ্গলের এক মিষ্টি ঘ্রাণ, তেমনই পাহাড়ের ভালোবাসার টান।সেখানেই আবার রয়েছে পাপরখেতি। চা বাগানের ওপর দিয়ে পিচ ঢালা মসৃণ রাস্তা এঁকেবেঁকে উঠে গিয়েছে ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রামে।
ঝান্ডি থেকে চেইল খোলা ব্রিজ টপকে রাস্তা উঠে গিয়েছে বাংলার ভূস্বর্গের দিকে। এই রাস্তায় এগিয়ে গেলে এক এক করে বঙ্গের ভূস্বর্গ, পাপরখেতি, দারাগাঁও, কুয়াপানি আর তারপর লাভা যাওয়া যায়।
যাওয়ার পথে গাড়ি থামাতেই হবে আম্বেওক টি গার্ডেনে। এর রূপ ভাষায় ব্যাখ্যা করা কঠিন। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ, আম্বেওক চা বাগানের ওপর দিয়ে পিচ ঢালা মসৃণ রাস্তা এঁকেবেঁকে পাহাড়ের উপর উঠে গিয়েছে। সেখানেই ছোট্ট চা-কফির দোকান। আর সেখান থেকেই এই পাহাড়ি চা বাগানের সদ্য ফুটে ওঠা দুটি পাতা একটি কুঁড়ির রূপকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করুন। আর চা বাগান যেন ভরা যৌবন। পাপরখেতি রূপ এখান থেকেই শুরু।
সেখান থেকেই আবার গহন সৌন্দর্যের ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাবে। এটাকেই বলে পাপরখেতি বসতি অঞ্চল। ছোট্ট গ্রামটা। গোটা দশেক দোকান, তিরিশটা ঘরবাড়ি নিয়ে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। একটু খোঁজ নিলে থাকার জন্য হোমস্টে পেয়ে যাবেন। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা মাথাপিছু ১৫০০ টাকায় হয়ে যেতে পারে। অনেকে এখানে পিকনিক করতেও যান।