ঋতুপর্ণা কি গভীর সংকটে

রাজনীতির সঙ্গে সেভাবে কোনো দিনই অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যুক্ত ছিলেন না। বিরোধী দলের অনেকের মুখেই শোনা যেতো প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা বিক্রি হয় নি।কিন্তু তবুও একাধিকবার ইডি দপ্তরের তাঁকে হাজিরা দিতে হয়েছে! ব্যাপারটা মোটেই পরিষ্কার নয় নাগরিক মহলে। এবার ঋতুকে ডাকা হয়েছিল মূলত রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে। কিন্তু তিনি প্রথম থেকেই দাবি করো এসেছেন, দূর দূর পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। সেই প্রেক্ষিতেই রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা কী দুর্নীতি আমি জানিই না।’ তার পর মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ৭০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চেয়ে আবেদন করলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এমনটাই দাবি করেছে ইডি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ইডির জেরা সামলে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে অসত্য বলেছিলেন অভিনেত্রী? অথবা কিছু গোপন করেছিলেন? গত ১৯ জুন ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে যান ঋতুপর্ণা। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘যে নথি ইডির আধিকারিকরা চেয়েছিলেন তা জমা দিয়েছি। আমি ওনাদের সহযোগিতা করেছি। ওনারাও আমাদের সহযোগিতা করেছেন। এই দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।’ তাহলে হঠাৎ করে ৭০ লক্ষ টাকা ফেরৎ দিতে চাওয়া! এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।

 

ধীরে ধীরে কিছু ঘটনা সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের অপসারিত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে ঋতুপর্ণা টাকা নিয়েছিলেন বলে ইডি সূত্রে জানা যায়। সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতির প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ঋতুপর্ণার মাধ্যমে টলিপাড়ায় বিনিয়োগ হয়েছে। সেই টাকা ঋতুপর্ণা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন। তার পরেও ইডিকে কেন ৭০ লক্ষ টাকা ফেরানোর আবেদন তিনি জানালেন তা নিয়ে পশ্ন উঠছে। তাহলে কি ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়?’ এর আগে রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতেও ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিল ইডি। রোজভ্যালির সঙ্গে তাঁর লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এবার রেশন দুর্নীতিতেও জড়াল তাঁর নাম। এবার দেখার ইডি এখন কোন পথে হাঁটেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *