আজ ষষ্ঠ দফার ভোটে সকাল থেকেই একাধিক বার বিজেপি প্রার্থীরা বিক্ষোভের সম্মুখীন হচ্ছে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় হোক বা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। এই আবহে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, সাফ হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় এজেন্টই দিতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল।

বিরোধী দলনেতা এদিন ভোট দেওয়ার পর বলেন, ‘ওরা সাফ হয়ে গেছে। ঘাটালে হিরণকে আটকেছে। এখান পেটানি খাচ্ছে। আমরা সাফ করে দিয়েছি তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃণমূল কংগ্রেস ২০০-র বেশি জায়গায় এজেন্টই দিতে পারেনি। নন্দীগ্রামের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত- সোনাচূড়া, হরিপুর, গোকুলনগর, ভেকুটি-সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে ওদের এবার এজেন্টই নেই। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যেটা ২০২১-এর ভোটেও আমি পারিনি, ৬৩টি মুসলিম বুথের প্রায় সব জায়গায় মুসলিম ছেলেরাই এজেন্ট হিসাবে বসেছেন। এটা খুব ভাল সংকেত। আমরা নন্দীগ্রাম থেকে অভিজিৎবাবুকে অনেক বেশি ভোটের মার্জিন দিতে পারব। ২ নম্বর ব্লকে ১৮ থেকে ২০ হাজার লিড হবে। ১ নম্বর বুথেও ৫ থেকে ১০ হাজার লিড। আমাদের ৩০ টার্গেট আছে। আশা করছি, কাছাকাছি যেতে পারব।’

তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, “নন্দীগ্রামে একটি বুথে প্রিজাইডিং অফিসার উঠে ভোটারকে দেখিয়ে দিচ্ছেন কোথায় ভোট দিতে হবে। এনিয়ে জেনারেল অবজার্ভারকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, টুকলি করে পাস করা যায়, কিন্তু ফার্স্ট হওয়া যায় না। শুভেন্দুবাবু বৃথা চেষ্টা করছেন। যেখানে অপহরণ করা হয়েছে সেখানে বিকল্প বসানো হয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। সোনাচূড়ায় গত দুই দিনে প্রচুর ভোটারের ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আধার কার্ড জমা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে বলা হয়েছে, যদি বাঁচতে চান জমা দিয়ে দিন, রবিবার সবাই ফেরত পাবেন। এরকমভাবে হুমকি দিয়ে প্রচুর লোকের জমা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গোটা সোনাচূড়া সন্ত্রস্ত এখনও পর্যন্ত। কর্মীদের আটকানো হয়েছে। খবর পেলাম, কোনও একটা জায়গায় সম্ভবত বাঁশের সাঁকো ছিল। যেখানে ওপার দিয়ে ভোটাররা আসেন। প্রায় ৪০০ ভোটার। সেই সাঁকোটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যাতে ৪০০ ভোটার আসতে না পারেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *