নিজস্ব সংবাদদাতা:
যাহা নবান্ন,তাহাই ছাপ্পান্ন-শিক্ষা দাও,চাকরি দাও-হাল ফেরাও, লাল ফেরাও এই দাবিতে আগামী ১১ ই ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি নবান্ন অভিযান করতে চলেছে। আজ সেই নবান্ন অভিযান এর সমর্থনে দিনহাটা শহর এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই ইউনিটের উদ্যোগে মিছিল ও মিছিল শেষে দিনহাটা চওড়াহাটে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।পথসভায় বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই দিনহাটা শহর ইউনিট সম্পাদক কমরেড কৌশিক রায় ও ডিওয়াইএফআই লোকাল সম্পাদক কমরেড অভিনব রায়। এসএফআই কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য কমরেড সৌভিক দে, এসএফআই রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড শুভ্রালোক দাস,পথসভায় সভাপতিত্ব করেন কমরেড সৌরভ সরকার।

অনান্য খবর- ঝাড়গ্রাম গোপীবল্লভপুর থানার পক্ষ থেকে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ পঞ্চম বর্ষ পূর্তি পালন

নবান্ন অভিযান এর সমর্থনে দিনহাটায় এস এফ আই ডি ওয়াই এফ আই এর মিছিল

পরের খবর – বাম ছাত্র-যুব’র নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি

নিজস্ব সংবাদদাতা: ১০ টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং। মিঠিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, লাঠিচার্জ করে। ইট নিক্ষেপকারীদের নিরস্ত করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। আহত হয়েছেন একাধিক আন্দোলনকারী। ইটের ঘায়ে আহত হয়েছেন বেশ কিছু পুলিশকর্মী।

আচমকা নবান্নের গেটে সরকার বিরোধী শ্লোগান। পৌনে এগারোটা নাগাদ দশ থেকে বারো জন ভিআইপি গেট দিয়ে নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করে। নর্থ গেটের সামনে ইব্রাহিম আলি সহ বাম আন্দোলনকারী যুবকদের গ্রেপ্তার করে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বামেদের ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানের আগে আচমকা এই ঘটনার পর সতর্ক পুলিশ। তারপর থেকেই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা নবান্ন চত্বর। এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী শহরের বাইরে। তাই কিছুটা হলেও ঢিলেঢালা ছিল রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তরের পুলিশি ব্যবস্থা। বেলা ১২ টা নাগাদ কলেজ স্ট্রিট থেকে নবান্নের দিকে রওনা হয় বাম ছাত্র যুবদের মিছিল। তবে তার আগেই পাশকুঁড়া পূর্বের বাম বিধায়ক একটি ছোট দল নিয়ে নবান্নের ভি আই পি গেটের দিকে চলে যান।

সতর্ক পুলিশ এর পরেই ধর্মতলায় আটকে দেয় মিছিল। ব্যারিকেড সরিয়ে এগোতে গেলে প্রথমে জল কামান, কাঁদানে গ্যাস এবং পরে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন ছাত্রের মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ করে এসএফআই। প্রতিবাদে আগামীকাল রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ও সহযোগী ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি। যা চলবে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধে ৬ টা অবধি। অন্যদিকে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে মিছিল থেকে, পাল্টা দাবি করে পুলিশ। সামনেই নির্বাচন। তার আগে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ চড়ছে। মূল লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হবে এ বিষয়ে একমত সব মহল। সেই প্রেক্ষিতে আজ বাম ছাত্র যুবদের রক্ত ঝরানো নবান্ন অভিযান কি বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রদের কোনও মাইলেজ দেবে? প্রশ্ন এখন সেটাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *