বিজ্ঞান খবর : বিবর্তনের বিস্ময়’ – ১৩০৬টি পা বিশিষ্ট মিলিপিড উদ্ধার অস্ট্রিলিয়ায়

বহু পা থাকা প্রাণীগুলিকে মিলিপিড বলা হয় বটে। তবে সেটা কিছুটা অতিরঞ্জন। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও মিলিপিড মেলেনি যার ৭৫০ টির বেশি পা ছিল। অস্ট্রিলিয়ার সোনার খানির গভীরে খুঁজে পাওয়া গেলো চারটি মিলিপিড – বিজ্ঞানীরা যাকে বলেছেন ‘বিবর্তনের বিস্ময়’। অদ্ভূত এক প্রাণির দেখা মেলে খনিতে। যার রয়েছে ১৩০৬টি পা। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে এমন প্রাণির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সোনার খোঁজে অনেক গভীর পর্যন্ত খনন কার্য চালানো হয়েছিল খনিতে। তখনই এমন আজব প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায়। এর আগে এত সংখ্যক পা-যুক্ত কোনও প্রাণী আবিষ্কার হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার খনি থেকে আবিষ্কৃত ওই প্রাণী নজর কেড়েছে বিশ্বের।

বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীরা বলেন,

মিলিপিড-এর আক্ষরিত অর্থ ‘হাজার পা’। কিন্তু এখনও পর্যন্ত, কোনও মিলিপিডের হাজারটি পা মেলেনি। প্রাণিটির আকার-আকৃতি অনেকটা সুতার মতো ফ্যাকাশে রঙের এবং বহুপদ বিশিষ্ট। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই প্রাণী কেঁচো প্রজাতির। যে মিলিপিডের পায়ের সংখ্যা ১৩০৬টি সেই প্রাণীটি ৩-১/২ ইঞ্চি অর্থাৎ ৯৫ মিলিমিটার লম্বা এবং এক ইঞ্চির চারশ ভাগের একভাগ চওড়া, এক্ষেত্রে ০.৯৫ মিলিমিটার। এদের ক্ষেত্রে ৩৮২টি পর্যন্ত পায়ের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।তবে এত বেশি সংখ্যক পা-যুক্ত মিলিপেডস এর আগে খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। অস্ট্রেলিয়ার ওই সোনার খনি থেকে মোট চারটি মিলিপেডস উদ্ধার হয়েছে। সবগুলোই উদ্ধার হয়েছে মৃত অবস্থায়। তার মধ্যে একটির ১৩০৬টি পা রয়েছে। বাকিগুলোর পায়ের সংখ্যা কম। চারটির মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুটি স্ত্রী প্রজাতির। ১৩০৬টি পা বিশিষ্ট প্রাণিটি ছিল স্ত্রী প্রজাতির। বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীদের সামনে গবেষণার নতুন তথ্য উঠে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *