উমঙ্গট নদী পরিচিত নাম ডাউকি নদী। মেঘালয়ের অন্যতম  আকর্ষণ।

স্বচ্ছ কাঁচের মতো ডাউকি নদীর জলই দেখলে নদী ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করবে না। নদীতে নৌবিহার করতে করতে কীভাবে যে দিন কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না। দুদিক পাহাড়ে ঘেরা মাঝে নদী,প্রকৃতির মায়ারাজ্য। ডাউকিতে গেলে প্রথম দর্শনে এমন মনে হতেই পারে। কারণ রাস্তার ধারে প্লাস্টিক, কাগজ, আবর্জনা কিছুই নেই সেখানে। আবর্জনাপূর্ণ নদী জলাশয় দেখে দেখে আমরা যাঁরা অভ্যস্ত তাঁরা ডাউকি নদীতে নৌবিহার করলে চমকে উঠতে পারেন। সেখানকার ছবি ক্যামেরাবন্দি করলেও চমকে উঠতে পারেন আপনি। এডিটিং ছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের এমন ছবি উঠবে যে ভাবতেই পারবেন না। মনে হবে প্রকৃতি যেন এখানে সব সময়ই ফোটোজেনিক। নদীটি একদম ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত জাফলং জিরো পয়েন্ট। এখানেই স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন উমঙ্গট নদী ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ডাউকি বাজার থেকে জাফলং জিরো পয়েন্ট দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এখানকার রাস্তা ঘাটে ভারতীয় সেনারা সবসময় পাহারা দেন।

সত্যি বলতে কি ডাউকি ভ্রমণের কোনও গাইডলাইন এঁকে দেওয়া যায় না। এই ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ উমঙ্গট নদীর নির্মলতা। নদীতে নৌবিহার করতে করতে মনে হবে যেন শূন্যে ভাসছেন। এতই স্বচ্ছ তার জল। পাহাড়র ঘেরা নদী এবং শহরের বর্ণনা দেওয়ার বোধহয় নতুন করে প্রয়োজন হয় না। কিন্তু নদীর সৌন্দর্য্যের কোনও তুলনাই হয় না। এই নদীতে নৌবিহার করেই সারাটা দিন কাটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। উমঙ্গট নদীর আরেক নাম ডাউকি নদী। ডাউকি নদী খাসী এবং জয়ন্তিয়া অঞ্চল দিয়ে বয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। স্বচ্ছ কাঁচের মতো ডাউকি নদীর জলই দেখলে নদী ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *