২৫ মে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ভোট । এর মধ্যে ঘটে গেলো এক দুর্ঘটনা। ভোটের ঠিক ৩ দিন আগে নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি সমর্থক খুন । মৃতের নাম রথীবালা আড়ি।বিজেপি সমর্থকের ছেলে-সহ ৭ জন ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। মৃতের ছেলেকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মনসা বাজারে তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। হামলায় রথিবালা আড়ি নামের এক মহিলা বিজেপি কর্মী মারা যান।প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও,পথ অবরোধ, বিক্ষোভ বিজেপির। তৃণমূলের নেতা শেখ সুফিয়ান বলেছেন এগুলো সাজানো ঘটনা এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগ নেই আর এর তদন্ত করে জানা যাবে কে এইরকম করেছে। আমার দল করুক বা অন্য কেউ সাজা নিশ্চয়ই পাবে। এরকম ভাবে তৃণমূল নিজের গায়ে কালি লাগাবে না এগুলো সাজানো ঘটনা এমনই মন্তব্য করলেন । গুরু তর আহত বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় এলাকা। প্রতিবাদ মিছিল, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলে।
গাছের গুঁড়ি ফেলে, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পুলিস ও র্যাফ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে তড়িঘড়ি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক বসে পুলিস। সেই বৈঠকে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় খুনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেয় পুলিস। তারপরেই অবরোধ ও বনধ্ সাময়িক প্রত্যাহার করার কথা জানান বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল।