২০১৯ এ লোকসভা ভোটে বিজেপি বিপুল আসনে জয়লাভ করেছিল। তার নেপথ্য ছিল দিলীপ ঘোষ। তার কেন্দ্র বদল করা হয়েছে এবং এক লক্ষ ভোটে তিনি হেরে গিয়েছেন।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন তাঁর কেন্দ্র বদল করা হল? জেতা কেন্দ্র থেকে কেন সরিয়ে আনা হল? সেই প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের দাবি, মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে আনা ভুল হয়েছিল, সেটা প্রমাণিত। কে সরিয়ে এনেছে? জবাবে নাম না করে শুভেন্দু-সুকান্তকে বিঁধে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির দাবি, “এত দিন তো সব দোষ তো দিলীপ ঘোষ হত। এখন যারা ক্ষমতায় আছেন দায় তাঁদের নিতে হবে। জিতলে মালা পরব আর হারলে দায় নেব না, এটা তো হয় না।”

রাজ্যে এবারে গেরুয়া শিবির মাত্র বারোটি আসন লাভ করেছে। দিলীপ ঘোষের কথা অনুযায়ী বঙ্গ বিজেপির এবং করুণ দশা জন্য সংগঠন দায়ী। তাঁর কথায়, “বাংলায় বিজেপির সংগঠন একেবারে শুয়ে পড়েছে। জেলা থেকে মণ্ডলে নতুন লোক এসেছে। কিন্তু তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্য়বস্থা করা হয়নি। ফলে কীভাবে নির্বাচন করতে হয়, সেই টিমই তৈরি হয়নি। সংগঠনের দুর্বলতা ছিল, প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, তাই ভোট কমেছে।” দীর্ঘদিন রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ। সেই সময় কাজের হিসেব তুলে ধরে তাঁর দাবি, “গ্রামে গ্রামে গিয়ে সংগঠন তৈরি করেছিলাম। সবাই আমার পক্ষে ছিল। দলের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল, তা প্রমাণিত।”

মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষকে এবার বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে। এর পেছনে কার হাত ছিল? দিলীপ বলছেন, “ভূমিকা তো থাকেই দলেরই। কার ভূমিকা আমি জানি না। খোঁজ করারও কথা নয়। পার্টি বলেছে, আমি শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী। আমায় দল নির্বাচনে লড়তে বলেছে, আমি লড়েছি, জিতেছি- তখন অনেককিছু আমার হাতে ছিল। এখন খালি লড়াইটা আমার হাতে ছিল।” তাঁর হারের দায় কার? জবাবে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির দাবি, “এখন যারা ক্ষমতায় আছেন দায় তাঁদের নিতে হবে। জিতলে মালা পরব আর হারলে দায় নেব না, এটা তো হয় না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *