জয়ন্ত সিংয়ের নতুন কীর্তি – স্তম্ভিত নাগরিক মহল
জয়ন্ত সিং মানেই আড়িয়াদহের শেষ কথা। জয়ন্ত সিং মানেই আড়িয়াদহের সরকার ও আদালত। তার নতুন এক কীর্তি এবার সামনে আসলো। আড়িয়াদহে তোলা না দেওয়ায় পার্লার বন্ধ করে দিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ীর। রাস্তায় ফেলে ব্যবসায়ী বুদ্ধদেব বেজকে বেধড়ক মারধরও করেছিল জয়ন্ত-গ্যাংয়ের বাবুসোনা চক্রবর্তী। এই ঘটনায় তন্ময় ধর ওরফে বাপ্পা নামে আরও একজনের নাম উঠে এসেছে। যিনি জয়ন্ত সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে দাবি বুদ্ধদেবের। মীমাংসা করানোর নামে ক্লাবে ডেকে নৃশংসভাবে বুদ্ধদেবকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। জয়ন্তের ভয়ে অনেকটাই জুজু হয়ে থাকতেন শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরাও।
শুধু তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবই নয়, আরো একাধিক ক্লাব ছিল তাদের অত্যাচারের ঠেক। তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের পর শিরোনামে আরও এক ক্লাব। আক্রান্তের দাবি, বছরখানেক আগে ক্লাবের মাঠে পৌনে দু’ঘণ্টা ধরে চলে বেধড়ক মার। অভিযোগ, জয়ন্ত সিংহের ৪০ জন শাগরেদ মিলে এলোপাথাড়ি মারে বুদ্ধদেব বেজকে। প্রতিবাদ করায় বুদ্ধদেবকে পাড়া ছাড়ার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল জয়ন্ত গ্যাংয় বলে অভিযোগ। এক বছর আগের ঘটনায় দক্ষিণেশ্বর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়।
বুদ্ধদেব বেজ বলেন, “অনেক টাকা দাবি করেছিল আমার কাছে। ব্যবসা করতে গেলে দিতে হবে বলেছিল। না দিতে পারায় হামলা করে। আমি থানায় গিয়ে জিডি করেছিলাম। তবে সেটাই বোধহয় আমার সবথেকে বড় ভুল হয়েছিল। থানা ওদের হয়ত কোনও তথ্য দেয়। এরপরই জয়ন্তী মাঠে ডেকে আমাকে মারধর করা হয়।” শেষ পর্যন্ত সব প্রকাশ পেতে সরকার আর মুখ বুজে থাকতে পারে নি। বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের আইনশৃঙ্খলা বিভাগের এডিজি মনোজ বর্মা। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে বলেন, অন্তত পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছেন জয়ন্ত সিং। পাঁচটি মামলায়। এমনকী এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে জয়ন্তকে ‘নোন রাউডি’ও (Known Rowdy) বলা হয়।