কলকাতা এবং হায়দরাবাদ- দুই দলের ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন ৫ জন প্লেয়ার। তাঁরা কারা?

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ট্র্যাভিস হেড এবার আইপিএলে ওপেন করতে নেমে বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করছেন এবং শুরুতেই হায়দরাবাদের ভিত তৈরি করে দিচ্ছেন। যে কারণে বড় স্কোরে পৌঁছে যাচ্ছে হায়দরাবাদ। আর হেড যে বড় মঞ্চের প্লেয়ার, তার আভাস তো ওডিআই বিশ্বকাপেই পাওয়া গিয়েছিল। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে একা হাতে দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। আইপিএল ফাইনালেও হায়দরাবাদের অধিনায়ক এবং হেডের দেশীয় সতীর্থ প্যাট কামিন্স নির্ভর করবে তাঁর উপর। ১৪ ম্যাচে ইতিমধ্যে ৫৬৭ রান করে ফেলেছেন তিনি। স্ট্রাইকরেট ১৯২.২০। চারটি হাফসেঞ্চুরি এবং একটি সেঞ্চুরি রয়েছে হেডের।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাফল্যের পিছনে এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সুনীল নারিনের। নারিন এই মরশুমে ব্যাট এবং বল হাতে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। এবার কেকেআর-এর হয়ে ওপেন করতে নেমে বিধ্বংসী মেজাজেই শুরুটা করছেন নারিন। ১৭৯,৮৫ স্ট্রাইকরেটে তিনি ১৩ ম্যাচে ৪৮২ রান করেছেন। ৩টি হাফসেঞ্চুরি এবং একটি সেঞ্চুরি রয়েছে নারিনের। সেই সঙ্গে বল হাতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের হাত ধরে ম্যাচের রং যখন, তখন বদলে যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডারের উপর ফাইনালেও পুরোপুরি নির্ভর করবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

হেডের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে এবার নজর কেড়েছেন এসআরএইচের অভিষেক শর্মাও। মারকুটে মেজাজে প্রতিপক্ষকে রীতিমতো কাঁদিয়ে ছাড়ছেন তিনি। হেড এবং অভিষেক মিলে দলের হয়ে শুরুটা এত বেশি বিধ্বংসী মেজাজে করছেন যে, দলের জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এই দু’জন উইকেটে টিকে যাওয়া মানে কেকেআর-কে ফাইনালে কাঁদিয়ে ছাড়বে। অভিষেক ২০৭.৭৬ স্ট্রাইকরেটে ১৫ ম্যাচে ৪৮২ রান করে ফেলেছেন। তিনটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, বল হাতেও তিনি কোয়ালিফায়ার-টু-তে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অভিষেক। ফাইনাল চিপকে। এখানকার পিচে স্পিনাররা সুবিধে পায় সাধারণত। তাই বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে তিনি এদিন ফের কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন।

মিচেল স্টার্ক আইপিএলের লিগ পর্বে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। কিন্তু তিনি নজর কেড়েছেন আসল জায়গায়। কোয়ালিফায়ার ওয়ানের ম্যাচে স্টার্ক একেবারে হায়দরাবাদের ব্যাটিং অর্ডারে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। পাওয়ার প্লে-তেই তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। যার খেসারত কিন্তু হায়দরাবাদকে ম্যাচ হেরে দিতে হয়েছিল। এদিনও স্টার্কের থেকে নতুন বলে এমনই পারফরম্যান্স আশা করছে কেকেআর। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে স্টার্ক ১৩ ম্যাচে ১৫টি উইকেট তুলে নিয়েছেন।

কেকেআর-এর বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনের জালে বারবার খেই হারাচ্ছেন বিপক্ষের ব্যাটাররা। বরুণ এবার ভালো ছন্দে রয়েছেন। ১৪ ম্যাচে ইতিমধ্যে ২০টি উইকেট নিয়ে ফেলেছেন। ফাইনাল হচ্ছে চিপকে। তাই বরুণের উপর বড় প্রত্যাশা রয়েছে দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের। চিপকের পিচের সুবিধে কাজে লাগিয়ে বরুণ যাতে বিপক্ষের ব্যাটিং অর্ডারে কাঁপুনি ধরিয়ে দিতে পারেন, সেটাই প্রত্যাশা তাঁর থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *