আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচে কেকেআরকে অবশ্যই চিন্তায় রাখবে এই ৫ টি কারণ? না হলে হতে পারে ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ। চেন্নাই এর চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আজ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স। তৃতীয়বার ট্রফি জয় এর হাতছানি শাহরুখ খানের দলের সামনে, কিন্তু কেকেআরকে চিন্তায় রাখতে পারে এই পাঁচটি কারণ। লীগ পর্বে শীর্ষ অবস্থান করে ফাইনালে পৌঁছায় কেকেআর, অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থান থেকে কোয়ালিফায়ার ২ জিতে ফাইনালে পৌঁছায় হায়দারাবাদ। এ বছর আইপিএলে প্যাট কামিন্স এর নেতৃত্বে একের পর এক বিধ্বংসী ম্যাচ খেলতে দেখা যায় হায়দ্রাবাদকে। যা চিন্তায় রাখতে পারে কলকাতার দলকে। তবে কেকেআর কে মাথায় রাখতে হবে এই পাঁচটি কারণ… দেখুন

প্রথমত, ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটিকে তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফেরাতে না পারলে কেকেআর শুরুতেই পিছিয়ে পড়বে। অভিষেক ধ্বংসাত্মক ফর্মে রয়েছেন। ট্র্যাভিস হেড যে বড় ম্যাচের প্লেয়ার, এতদিনে সেটা প্রমাণিত। দুই ব্যাটার যতক্ষণ ক্রিজে থাকবেন, ঝড়ের গতিতে রান উঠতে থাকবে। সুতরাং, ফাইনালে নিশ্চিভাবেই নাইট শিবিরকে দুশ্চিন্তায় রাখবেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার।

দ্বিতীয়ত, চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ফাইনালে কেকেআরের স্পিনারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে সন্দেহ নেই। সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী ব্যর্থ হলে কেকেআর কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সানরাইজার্সের দুই বিদেশি ব্যাটার ক্লাসেন ও এডেন মার্করাম স্পিনারদের সামলাতে পারেন। এদের জলদি আউট করতে হবে।

তৃতীয়ত,চিপকের আবহাওয়া শাঁখের করাতে ফেলতে পারে কেকেআরকে। টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং নাকি বোলিং, কী করা উচিত, সেটাই দ্বন্দ্বে ফেলতে পারে নাইট টিম ম্যানেজমেন্টকে। দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনাররা তুলনায় সাহায্য পাচ্ছেন পিচ থেকে। সেই নিরিখে কেকেআরের কাছে শুরুতে ব্যাট করাই শ্রেয় মনে হতে পারে। তবে যদি শিশির পড়ে, তবে স্পিনারদের পক্ষে বল গ্রিপ করাই সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে। আবার রান তাড়া করতে চাইলেও সমস্যা সেই একই। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ইনিংসে বল ঘুরলে শাহবাজ আহমেদদের সামলানো নিতান্ত সহজ হবে না।

চতুর্থ, চেন্নাইয়ের এম চিদম্বরম স্টেডিয়ামে লিগের ম্যাচগুলি যে পিচগুলিতে খেলা হয়, প্লে-অফের ম্যাচ খেলা হচ্ছে নতুন পিচে। শুক্রবারই এই মাঠে আরসিবিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে হায়দরাবাদ। সুতরাং, চিপকের পিচ ও পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনায় সড়গড় হায়দরাবাদ। তাই ফাইনালে প্রয়োজন মতো নিজেদের খেলার ধরণ বদলাতে পারবে তারা। কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেদের মেলে ধরতে হবে, সেটা কেকেআরের তুলনায় ভালো উপলব্ধি করতে পারবে হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্সের মতো বিচক্ষণ অধিনায়ক পরিকল্পনাগত দিক দিয়ে টেক্কা দিতে পারেন নাইট দলনায়ক শ্রেয়সকে। তাছাড়া ক্যাপ্টেন হিসেবে কামিন্সের বড় ম্যাচের চাপ সামলানোর অভ্যাস রয়েছে।

পঞ্চম কারণ অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কেকেআরকে।
সানরাইজার্সের ফিল্ডারদের এলিমিনেটর ম্যাচে উদ্দীপ্ত দেখিয়েছে। হায়দরাবাদের গ্রাউন্ড ফিল্ডিং তুলনায় জমাট। তাই কেকেআরের ব্যাটারদের সতর্ক থাকতে হবে। ভুল শট খেলে সুযোগ দিলে পস্তাতে হবে নিশ্চিত। তার উপর হায়দরাবাদের ফিল্ডাররা বেশ কিছু রান বাঁচাবেন নিশ্চিত। তাই ব্যাটারদের বাড়তি রান তোলার উদ্যম থাকা দরকার।

এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলে, ত্রীতীয়বারের জন্য ট্রফি দখল করতে পারবে কেকেআর।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *