কোলকাতার ভরা রাস্তায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল – হেসে বিরোধীরা বলছে, এই না হলে তৃণমূল

তৃণমূল মানেই গোষ্ঠী কোন্দল – একথা সর্বজন বিদিত। কিন্তু তাই বলে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে যুব সভাপতিকে পেটাবেন কাউন্সিলার? দলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ঠাঁটিয়ে চড় মারলেন ওই ওয়ার্ডেরই যুব সভাপতি কেদার দাসকে। শাড়ি পড়েই সুনন্দাকে কার্যত তেড়েমেড়ে ছুটে যেতে দেখা গেল কেদারের দিকে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন ওই যুবনেতা। ঘটনাটি শ্যামপুকুর বিধানসভার অন্তর্গত। শোনা যায়, ওই যুব নেতা আবার মন্ত্রী শশী পাঁজার খুব ঘনিষ্ঠ। ২১শে জুলাইয়েরও সমস্ত দায়িত্ব কেদারের হাতেই ন্যাস্ত করেছিলেন শশী পাঁজা। তাতেই হয়তো কিছুটা ক্ষুব্ধ ছিলেন কাউন্সিলার।

কাউন্সিলার সুনন্দা সরকারের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। সারা বাংলা জুড়ে দেখা যায় ২/৩ বছর কাউন্সিলার থাকার পরেই তাদের একতলা বাড়ি হয়ে যায় তিন তলা, মোটর সাইকেল বিদায় দিয়ে নিয়ে আসে দামি গাড়ি। মানুষ এতে অনেকটাই অভ্যস্ত। সুনন্দা সরকারকে নিয়ে এই অভিযোগ প্রথম নয়। এর আগেও কেদার দাসরা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন বলে খবর। পাল্টা আবার সুনন্দার দাবি তাঁকে ফ্যাঁসাদে ফেলতেই এই ধরনের অভিযোগ করেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা। যদিও, এ প্রসঙ্গে সুনন্দার প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন আমি মারতে যাইনি, ওর হাত থেকে ইট কেড়ে নিয়েছি। কেদার দাস বলেন, “এখানে অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি বলে তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমায় মারা হয়েছে। এখানে প্রোমোটিং, গাঁজা, জুয়ার এই সব বেআইনি কারবার চলত। আমরা প্রতিবাদ করি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *